,

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের একটি দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে -এ্যান মেইন এমপি

মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন থেকে ॥ শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের একটি দরিদ্রতম দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ  উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছে, সেদিন আর খুব দূরে নয় বাংলাদেশ হবে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকব। এ মন্তব্য হাউজ অব কমন্সের অল পার্টি পার্লামেন্টারী গ্রুপের চেয়ার এবং রোহিঙ্গা বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের কো-চেয়ার এ্যান মেইন এমপি‘র।  গত ৪ জুলাই দুপুরে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আনন্দ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যান  মেইন এমপি এসব কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের এই অভূতপূর্ব অগ্রযাত্রার ভূয়ষী প্রশংসা করেন এবং দু‘দেশের মধ্যকার বিরাজমান উষ্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয় এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি মাদক এবং সন্ত্রাস নির্মুলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য সরকারের দু‘জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিসের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান ফারগস ওল্ড এবং ডিএফআইডি এর গর্ভনেন্স এডভাইজার মিঃ জোয়েল হারডিং বক্তব্য রাখেন। তাঁদের বক্তব্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে  বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা উঠে আসে। তাঁরা বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

 

Part of the distinguished audience_Photo 3

তাঁরা বাংলাদেশকে যুক্তরাজ্য সরকারের সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা আগামী দিনেও অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। গতকাল ৪ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠার যোগ্যতা অর্জন করায়  লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন সেন্ট্রাল লন্ডনের ব্যাডেন-পাওয়েল হাউজ-এ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আনন্দ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের ট্রেড পলিসি গ্রুপ এর ম্যানেজার মিস ক্রিষ্টিনা টোপ্যাল, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ। অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ব্রিটিশ বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ ক্যাটারারস এসোসিয়েশন, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ওয়েলস্ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এর প্রতিনিধি। বৃটেনে বসবাসরত ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, শিক্ষক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  অনুষ্ঠানের শুরুতে হাই কমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধনী বক্তৃতা প্রদান করেন। হাই কমিশনার তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য উল্লেখপূর্বক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বন্ধুপ্রতীম দেশ যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করে আগামী দিনেও নিবিড়ভাবে পাশে পাবার আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অতীতের মতো ভবিষ্যতেও অধিক হারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি সকলকে একযোগে কাজ করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা‘ গড়ে তোলার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাই কমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এসএম জাকারিয়া হক। অনুষ্ঠানে স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উত্তরণের উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গড়ে উঠা বাংলাদেশ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আইনের শাসন ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিকীকরণ নিশ্চিত করে উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহন করেছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রবাসী ব্যবসায়ী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দেশাত্ববোধক সঙ্গীতসহ দেশীয় নৃত্য পরিবেশন করেন যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে মধ্যাহ্ন ভোজে আপ্যায়িত করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর